Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রশিক্ষণের বিস্তারিত

একনজরে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণঃ

শহর সমাজসেবা কার্যক্রম, সমাজসেবা অধিদফতরের প্রারম্ভিক স্বল্পসংখ্যক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম এবং শহর সমাজ উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আদি কর্মসূচি হিসেবে পরিগণিত। ১৯৫৫ সাল থেকে শহরের বস্তি এলাকায় বসবাসরত জীবিকার সন্ধানে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দরিদ্র স্বল্প আয়ের ভাসমান পরিবারের সদস্যদের সংগঠিত করে পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকল্পে বাস্তবধর্মী কার্যক্রম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ ও সহযোগিতা করা, শহরাঞ্চলে বসবাসরত বেকার যুব সমাজকে সমাজের মূল স্রোতধারায় পরিচালনা করাসহ সামাজিক উন্নয়নে এ কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। শহর সমাজসেবা কার্যক্রমের অন্যতম একটি প্রচেষ্টা হল বেকার/দরিদ্র জনগণের আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা। বর্তমানে দেশের ৬৪ টি জেলা শহরে মোট ৮০ টি ইউনিটে সাফল্যের সাথে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। শুরু হতে এ পর্যন্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপকৃতের সংখ্যা ৩,১৪,৯০৫ জন। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে, সর্বোপরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে আরও টেকসই ও যুগোপযোগী এবং আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদনক্রমে, শহর সমাজসেবা কার্যক্রমের ৮০টি ইউনিট পরিচালিত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।


জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের ২৩টি মন্ত্রণালয় পরিচালিত কারিগরি প্রশিক্ষণকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে (NTVQF Level-1-6) সমাজসেবা অধিদফতর সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেশের ৮০টি শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, শহর সমাজসেবা কার্যালয়--------------শিরোনামে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন গ্রহণ করে। এ উদ্যোগে বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০২১ সামনে রেখে শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অভিন্ন মডিউল ও সার্টিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়া প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে এবং এক একটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ইন্সটিটিউট হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে।


বর্তমানে ২৩ টি ট্রেডে ৩৬০ ঘন্টার বেসিক কোর্সসহ নানামুখী প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। শহরের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গামী ছাত্র এবং সাধারণ প্রশিক্ষণার্থী ছাড়াও সমাজসেবা অধিদফতরের সুবিধাভোগী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবর্গ, হিজড়া, হরিজন, বেদে, দলিত ও সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত সরকারি শিশু পরিবার এবং বেসরকারি শিশুসদনসমূহের এতিম নিবাসীবৃন্দ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।


তাছাড়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর পরিচালিত এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম ও কওমী মাদ্রাসার প্রশিক্ষণার্থীগণকে কারিগরি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করে সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় শহর সমাজসেবা কার্যালয়সমূহ পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।


সমাজসেবা অধিদফতরাধীন ৮০টি শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে একটি সমন্বিত সিস্টেমে এনে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানসহ সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশীদার হওয়া ও প্রশিক্ষণার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নকরণের লক্ষ্যে dsssdtms.gov.bd সফটওয়্যারকেন্দ্রিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।


দেশের শিক্ষিত বেকার/অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরিত করে SDG লক্ষমাত্রা অর্জন এবং দেশে-বিদেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা অনুসারে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের পর্যায়ে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে ৮০ টি দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত নিম্নোক্ত ২৩ টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।





বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পঃ


প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রাঃ

১. মূল উদ্দেশ্য:

 প্রান্তিক পেশাজীবী জাতিগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য ও সেবার উৎকর্ষ এবং পেশার আধুনিকায়নের মাধ্যমে তাঁদের অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিসহ সমাজের মূল শ্রোতধারায় সম্পৃক্তকরণের নিমিত্ত জীবনমান উন্নয়ন।
২. বিশেষ উদ্দেশ্য:
-দেশব্যাপী প্রান্তিক পেশাজীবীগোষ্ঠীর সঠিক সংখ্যা নিরূপণ ও তাদের তথ্য সম্বলিত অনলাইন ডাটাবেজ;
-পেশার টেকসই উন্নয়নে সফটস্কিলস/উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ প্রদান।
-মাঠ পর্যায়ের এ পেশাজীবীদের উৎপাদিত পণ্যবাজারজাতকরণের লক্ষ্যে ঢাকায় ১ টি বিপনন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।
-উপার্জন সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে ও দক্ষতা উন্নয়নের নিমিত্ত প্রশিক্ষণ প্রদান;
-হাতে কলমে এপ্রেন্টিসশীপ (শিক্ষানবিশি) প্রশিক্ষণপ্রদানেরমাধ্যমে পেশার মানোন্নয়ন;
-কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি;
-প্রশিক্ষনোত্তর পেশার টেকসই উন্নয়নে নগদ অর্থ সহায়তা;
-প্রান্তিক পেশাজীবীগোষ্ঠীর সামাজিক মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ;
-গুগল ম্যাপিং এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও অনুদান (নগদ সহায়তা) প্রাপ্তদের ব্যবসা প্রসারে সহায়তা এবং মনিটরিং এর মাধ্যমে প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ;
-পেশাজীবীদের উৎপাদিত পণ্যের উৎকর্ষ সাধনে পরামর্শ/প্রশিক্ষণসহ তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের বহূমুখী ব্যবহারে প্রচারণা;
- প্রশিক্ষনোত্তর সমাজসেবা অধিদপ্তর/বিএমইটি কর্তৃক কম্পিটেন্ট সনদ প্রদান।